পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চিত্রশিল্পী এবং অলঙ্করণ শিল্পী ফাহমিদা আজিম। ইনসাইডার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত চীনা বন্দীশিবির থেকে পালানোর, ইলাস্ট্রেটেড প্রতিবেদনের জন্য তিনি এ পুরস্কার জিতেছেন।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রথম মার্কিন নাগরিক হিসেবে পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছেন তিনি। ‘হাউ আই এসকেপড এ চাইনিজ ইন্টারমেন্ট ক্যাম্প’ বা ‘আমি যেভাবে চীনা বন্দিশিবির থেকে পালিয়ে এলাম’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনের জন্য ‘সাংবাদিকতার নোবেল’ খ্যাত সম্মানজনক এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

২০২১ সালের ২৮শে ডিসেম্বর ইনসাইডার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল প্রতিবেদনটি। এতে অবদানের জন্য ‘ইলাস্ট্রেটেড রিপোর্টিং অ্যান্ড কমেন্টারি’ বিভাগে যৌথভাবে পুলিৎজার জিতেছেন ফাহমিদা। তিনি ছাড়াও বিজয়ী এই দলে রয়েছেন ইনসাইডারের অ্যান্থনি ডেল কোল, জোশ অ্যাডামস এবং ওয়াল্ট হিকি।

সাংবাদিকতা ও প্রকাশনার জগতে পুলিৎজার পুরস্কারকে অত্যন্ত সম্মানজনক বলে বিবেচনা করা হয়। এর আগে, চলতি বছরের শুরুর দিকে ‘সামিরা সার্ফ’ বইয়ের জন্য ‘গোল্ডেন কাইট’ পুরস্কার জিতেছিলেন ফাহমিদা আজিম।

পুলিৎজারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ফাহমিদা আজিম একজন ইলাস্ট্রেটর ও গল্পকার। পরিচয়, সংস্কৃতি ওস্বায়ত্তশাসনের থিমগুলোর ওপর তিনি কাজ করেন। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, এনপিআর, গ্ল্যামার, সায়েন্টিফিক আমেরিকান, দ্য ইন্টারসেপ্ট, ভাইসসহ আরও অনেক জায়গায় ফাহমিদা ও তার শিল্পকে দেখা গেছে। তিনি তার নিজের ‘মুসলিম উইমেন আর এভরিথিং’ (হার্পারডিজাইন, ২০২০)-সহ বেশ কয়েকটি বই চিত্রিত করেছেন। ফাহমিদা অসাধারণ জীবনযাপনকারী সাধারণ মানুষ, সুন্দর জীবনযাপনকারী কাল্পনিক মানুষ এবং খাবারের ছবি আঁকতে পছন্দ করেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এ নারী এখন ওয়াশিংটনের সিয়াটলে বসবাস করেন।

ছয় বছর বয়সে মা-বাবার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় পাড়ি জমান ফাহমিদা। লেখাপড়া শুরুর প্রথম থেকেই তার স্বপ্ন ছিল খ্যাতনামা একজন চিত্রশিল্পী হওয়ার। সেই লক্ষ্যে ফাহমিদা পড়াশুনা করেন কম্যুনিকেশন্স আর্টে। বর্তমানে তিনি ওয়াশিংটনের সিয়াটলে একটি কোম্পানিতে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন।